আসসালা-মু-আলাইকুম কেমন আছেন সবাই। আজ হাজির হলাম নতুন আরেক টা পোস্ট নিয়ে। আজকে আমরা কথা বলব ওয়াইফাই হ্যাক নিয়ে। আজ আমরা জানব ওয়াইফাই হ্যাক এর এ টু যেট তাহলে চলুন শুরু করা যাক।এই ওয়াইফাই হ্যাক নিয়ে আমাদের মনে হাজারো ধরনের প্রশ্ন রয়েছে হয়ত আজ আমি আপনাদের হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না তবে যে সকল প্রশ্নের জবাব দিব মানে উত্তর দিব সেগুলো দ্বারাই হাজারো প্রশ্নের জবাব পেয়ে জাবেন আপনারা।
১ম প্রশ্নঃ আসলেই কি ওয়াইফাই হ্যাক করা জায়?
উত্তরঃ হ্যা...। আসলেই ওয়াইফাই হ্যাক করা জায়।
২য় প্রশ্নঃ আমরা কি তাহলে ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারব?
উত্তরঃ হ্যা পারবেন...। যদি আপনে একজন প্রফেশনাল মানের একজন হ্যাকার হন। আপনাকে একটি ওয়াইফাই হ্যাক করতে হলে আপনাকে কম্পিউটারের অ আ ক খ থেকে শুরু করে সব জানতে হবে একমাত্র তাহলেই আপনি ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারবেন।
৩য় প্রশ্নঃ তাহলে ওয়াইফাই হ্যাক করতে আমাকে কি কি জানতে হবে?
উত্তরঃ আপনি বলুন আপনাকে কি কি জানতে হবে না। আমি বললাম আমি কম্পিউটারের অনেক কিছু জানি। আমি জানি কম্পিউটার কিভাবে সেটাপ দিতে হয়। আমি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কাজ জানি, আমি কম্পিউটারের অনেক গুলো সফটওয়্যার এর কাজ জানি, আমি মাইক্রোসফট অফিস জানি আমি ভাল ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারি। তাহলেই কি আমি ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারব। না ... আমি তাহলেই ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারব না। আমাকে ওয়াইফাই হ্যাক করতে হলে আমাকে ওয়াইফাই এর সিকিউরিটি সম্পর্কে জানতে হবে আমাকে ঐ সকল সিকিউরিটি দুর্বল দিক টা খুজে বের করতে হবে। আচ্ছা আমি খুজে বের করলাম।
৪র্থ প্রশ্নঃ তাহলেই কি আমি ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারব?
উত্তরঃ হ্যা... সেটা পসিবল কিন্তু তার জন্য আমাদের অবশ্যই কিছু প্রি সেটাপ থাকতে হবে। এই ক্ষেত্র টা ভাগ্যের মত এটা এমন নয় আপনি জাস্ট ওয়াইফাই টা ক্র্যাক করে ফেললেন। সেটা আলাদা জিনিস এই দিকে পরে আসছি...
৫ম প্রশ্নঃ ওয়াইফাই হ্যাক করতে কি কি সফটওয়্যার ও টুলস প্রয়োজন ?
উত্তরঃ প্রোফেসনাল ভাবে ওয়াইফাই হ্যাক করতে হ্যাক বলবনা আমি ক্র্যাক বলব... ক্র্যাক করতে প্রয়োজন হয় এমন কিছু টুলস আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
Kali Linux
ওয়াইফাই ক্র্যাক করার জন্য প্রথমেই আমাদের একটি অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন আমরা সাধারন যেকোনো অপারেটিং সিস্টেম হ্যাকের কাজে ব্যবহার করতে পারবনা যেমনঃ মাইক্রোসফট ।
হ্যাক এর জন্য আমাদের অন্য ধরনের একটি অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন যেমন কালি লিনাক্স। কালি লিনাক্স ছাড়াও আরো অপারেটিং সিস্টেম আছে যেমন ব্যাক-ট্রাক ৫। যাই হক আমরা শুধু কালি লিনাক্সই ধরলাম বলতে পারেন আমি ব্যাক-ট্রাক ৫ সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না। অপারেটিং সিস্টেম যাই হক না কেন
এগুলোর ইন্টারফেস আমাদের মাইক্রোসফট বা অ্যাপেল এর মত এত সহজ ও বোধগম্ম নয়। সেগুলো এ রকম নয় যে আমি চাইলেই গান বাজালাম। সেগুলো শুধু মাত্র সিকিউরিটির কাজেই ব্যাবহার করা হয়। এটা ব্যাবহার করার জন্য আপনাকে একটি জলজ্যান্ত কম্পিউটার হতে হবে। মানে আপনাকে প্রোগ্রাম সম্পর্কে অনেক ভাল ধারণা থাকতে হবে।
Wireshark
বিশ্ব ব্যাপী সবচেয়ে পরিচিত একটি সফটওয়্যার হচ্ছে ওয়্যারশার্ক। হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার টি বহুল ব্যাবহার হয়ে থাকে। তবে এই সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করতে হ্যাকিং সম্পর্কে অনেক ভাল ধারণা থাকতে হবে।
AirCrack
এখন যে সফটওয়্যারটি নিয়ে কথা বলব তা হচ্ছে এয়ার-ক্র্যাক মূলত ওয়াইফাই ক্র্যাক করার জন্যই ব্যাবহার করা হয়। এবং এই সফটওয়্যারটি সি ল্যাঙ্গুয়েজ এ লিখা। পর্যাপ্ত পরিমানে ডাটা সংগ্রহ করা থাকলে এই সফটওয়্যারটি দিয়ে ডব্লিউপিই, ডব্লিউপিএ – পিএসকে সিকিউরিটি সিস্টেম ও ক্র্যাক করা যায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই সফটওয়্যারটি উইন্ডোজ-এ ও ব্যাবহার করা যায়।
Fern WiFi Cracker
নাম টির দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। ফের্ন ওয়াইফাই ক্রাকার। এখানে ফের্ন একটি পর্তুগীজ শব্দ যার অর্থ হচ্ছে পূর্নাঙ্গ ওয়াইফাই ক্রাকার। এই সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করা হয় সম্পূর্ন ওয়াইফাই টি আনাল্যসিস করার জন্য এবং কনো দুর্বল পয়েন্ট খুজে বের করার জন্য।
কিন্তু এটা শুধু মাত্র লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এ ই চলবে।
৬ষ্ঠ প্রশ্নঃ ভাই সফটওয়্যার তো পেলাম কিন্তু হ্যাক করব কি ভাবে ?
উত্তরঃ যদি প্রশ্ন টা এমন হয় তাহলে আপনাকে আমি বলছি আপনি এগুলা ব্যাবহার করে তখনই হ্যাক করতে পারবেন যখন আপনার হ্যাকিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। যেটা আমাদের কারোরই নেই। এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে আপনি আমি হয়তো ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারব না। সাধারণত ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক এর মাধ্যমে যেটা করতে আপনার আমার কম্পিউটারের পোষাবে না। কারন এতে করে যে সময় লাগবে তা বলা বাহুল্য।
৬ষ্ঠ প্রশ্নঃ তার মানে কি আমরা ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারব না ?
উত্তরঃ আমি সরাসরি বলব না, যে আপনারা পারবেন না আপনারা পারবেন কারন আমি নিজে ওয়াইফাই হ্যাক করে চালিয়েছি। তবে এটা প্রোফেসনাল হ্যাক নয়। এবং এটা সম্পুর্ণ আমার নিজের তৈরি বলাও জায়। তবে আমি তা বলব না কারন এটা সবাই পারবে যদি একটু মাথা খাটায়। আমি শুধু একটা সিকিউরিটির সুবিধা নিয়েছি। এতটুকুই সেটা কিভাবে কাজ করে সব জানতে চাইলে দেখে আসুন নিচের ভিডিও টা।ধন্যবাদ।
0 comments:
Post a Comment